শংকর তাড়াতাড়ি গিয়ে মোবাইলটা পকেটে পুরে দরজাটা খুলল| যে অচেনা ব্যক্তি যাকে এই ভিডিওতে কিছুক্ষণ আগে দেখেছিলাম তাকে আমাদের সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম| আমাকে দেখে-“এই কি ওই ছেলেটা?”
শংকর মাথা নেড়ে বলল-“হ্যা কাকা|”
লোকটি বলল -“তুই ওকে এখানে নিয়ে এসেছিস কেনো?…ওই ঘরে নিয়ে যা…দাদা বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত ছেলেটাকে ওই ঘরে রাখতে বলেছে”
এই কথাটি বলে লোকটি আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস-“খোকা নাম কি তোমার?”
শংকর পিছন থেকে বলল-“কাকা ওর নাম অভিষেক..আমাদের স্কুলে পড়ে|”
আমার ভয় মুখ দিয়ে কথা বেড়াচ্ছিলো না, লোকটি সেটি বুঝতে পারলো, শংকরকে বলল-“যা ছেলেটাকে ওই ঘরটায়ে নিয়ে যা আর বুড়ি মাসিকে বোল খেতে দিতে|”
শংকর- “ঠিক আছে কাকা|”
শংকর আমাকে আরেকটি ঘরে নিয়ে গেলো, নিয়ে যাওয়ার সময়ে শংকরকে দুটো বাচ্চা ছেলে ধরলো-“দাদা..নতুন মা এসছে ..দেখতে যাবে না”
শংকর তাদেরকে তাড়িয়ে দিলো এই বলে যে সে এখন ব্যস্ত আছে| আমি নিজেকে আটকাতে পারলাম না, জিজ্ঞেস করে বসলাম-“এরা কারা?”
শংকর বলল-“এরা আমার ভাই ….এছাড়া একটা কাথায়ে শোয়া ভাই আছে যাকে বুড়ি মাসি সামলায়ে|”
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে বসলাম-“এতোগুলো ভাই !!!”
শংকর-“তোর মা প্রথম নয়ে এই পরিবারের বউ..যাই হোক…তুই এখন এই ঘরে থাক..তোর খাওয়ার দাওয়ার বুড়ি মাসি পাঠিয়ে দেবে|”
আমি-“আচ্ছা..এই বুড়ি মাসি যার কথা বলছিস..সেও কি বন্দিনী….”
শংকর-“৪৫ পর থেকে…কোনো মেয়ে আর বন্দিনী থাকে না|…এক সময়ে এই বুড়ি এই বাড়ির বউ ছিলো এবং শেষ বয়েস অব্দি বউ হয়ে ছিলো এই বাড়ির…কিন্তু যবে থেকে গ্রামের এই বন্দিনী থেকে সে মুক্তি পেয়েছিলো…তাকে এই বাড়ির পরিচারিকা হিসাবে রাখা হয়েছে|”
শংকর এই কথা বলে আমাকে একটি ঘরে বন্দী করেরেখে দিয়ে দরজা আটকে চলে গেলো| আমি ঘরের আসে পাসে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম এবং সামনের জানলা দিয়ে মাঠে পান্দেল বানানো দেখতে লাগলাম| হটাত দেখতে পেলাম পিছনের জানলা দিয়ে কিছু মেয়েদের গলার আওয়াজ পেলাম মনে হয়ে| পিছনের দিকের জানলাটা যেটা বন্ধ ছিলো, সেটা আলতো গিয়ে খুলতে দেখতে পেলাম কিছু মহিলা এক মাঝের মহিলাটার শরীরে হলুদ মাখাছে| মাঝের মহিলাটি আর কেউ নয়ে আমার মা|
সেই জায়গায়ে যেখানে মাকে হলুদ মাখানো ছিলো চারপাশে কাপড় দিয়ে ঢাকা দেওয়া ছিলো| এর কারণ ছিলো মাকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ রাখা হয়েছিলো এবং যে টুকু কাপড় তার শরীরে সেটা দিয়ে তার স্ত্রীলিঙ্গ টুকু ঢাকা ছিলো| মায়ের হাতে, থাই থেকে গোড়ালি পর্যন্ত, নাভিতে আর এমন কি দুধে পুরো হলুদ মাখিয়ে দিচ্ছিলো|
একটা বয়স্ক মহিলা মায়ের দুধের জায়গা খানি হলুদ মাখানোর বেশ জোরে জোরে টিপে দিচ্ছিলো, তাতে মায়ের একটু বেদনার আওয়াজ বেরোতেই বয়স্ক মহিলাটি বলল-“এই তুকুনি তে দেখো কেমন করছে মাগী….আমাদের গ্রামের মরদ তো জানেনা….দুদিন লাগে না..দুধ টিপে টিপে ঝুলিয়ে দিতে…আর এ যে এতো সুন্দর দুধ..কাল ওই দুধ আসতো থাকবে কিনা জানিনা|”
এই কথাগুলো শুনে বাকি মহিলা গুলো খিক খিক করে হেসে কিন্তু মায়ের মুখ গম্ভীর হয়ে গেলো| বুঝতে পারছিলাম না এটা রাগে, লজ্জায়ে না ভয়ে| এমন সময়ে দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম, দেখলাম এক বয়েস্ক মহিলা ঢুকলো খাওয়ার থালা হাতে নিয়ে| আমাকে জানলার সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখে আমার জানলার সামনে এলো এবং উকি মেরে দেখলো আমি কি দেখছিলাম| জানলাটা লাগিয়ে দিতে দিতে বলল-“এগুলো তুমি দেখো না…তুমি এখানকার ছেলেদের বাজে ছেলে…ভালো ঘরের ছেলে…তুমি সারাদিন এখানে থাকো…এখন খাওয়ার টা ঘুমিয়ে পড়ো|”
আমি মাথা নেড়ে হা বললাম| খাবার থালাটি রেখে দিয়ে সেই বয়স্ক মহিলাটি বেড়িয়ে গেলো এবং যাওয়ার আগে দরজাটা আটকে দিয়ে গেলো| আমি চুপচাপ বসে রইলাম , আবার মনে হলো সেই জানলাটা খুলে দেখি কি ঘটছে ওখানে| কাছে এসে দেখতে পেলাম জানলাটাকে এমন ভাবে লাগিয়ে দিয়ে গেছে ওই মহিলাটি যে ওটা খোলা আমার পক্ষ্যে সম্ভব ছিলো না| খিদে পেয়েছিলো তাই খাওয়ারটা খেয়ে নিয়ে শুয়ে পড়লাম| কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানিনা| হটাত শঙ্করের গোলার আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেলো|শংকর-“কিরে ওঠ…দেখবি না তোর মাকে কেমন সাজিয়েছে বিয়ের জন্য|”
আমাকে ঘর থেকে নিয়ে গিয়ে শংকর সিড়ি বেয়ে একটা উপরের ঘরে নিয়ে গেলো| ওখানে গিয়ে দেখলাম মা বধুর সাজে বসে আচ্ছে এবং মায়ের পাশে বসে আচ্ছে আমাদের ওই বাংলোর কমলা মাসি| শংকর আমাকে বলল -“এখান থেকে উকি মেরে দেখ..ভেতরে যাস না…তোকে ওই ঘর থেকে বিয়ে না হওয়া অবদি বার করতে বারণ করেছো….দেখ কি সুন্দর লাগছে তোর মাকে…সবাই বলছে আমাদের বাড়িতে এতো সুন্দর বধু কোনদিনও আসেনি|”