পুজা কাটিয়ে ফেরার বেশ কিছুদিন পরে একদিন রাতে যূথী রান্না করছিল। সরলা যথারীতি বসে ছিল যূথীর পাশেই। গল্প করতে করতে রাঁধছিল যূথী। শীতকাল আসছে আসতে আসতে। ঠাণ্ডা পড়ছে সন্ধ্যে হলেই। গ্রামের এই পরিবেশে সন্ধ্যেবেলায় উনুনের ধোঁয়ার সাথে কুয়াশা নেমে আসছে জানান দিতে যে ঠাণ্ডা পড়ছে। সন্ধ্যে হলেই একটা হাল্কা চাদর লাগছে ঢাকা দেবার জন্য। আর কিছুদিন পরেই কালীপূজো। প্রায় প্রতিটা বারির সাম্নেই একটি করে ছোট্ট মাটির প্রদীপ জ্বলছে। জ্বলবে ভুত চতুর্দশী অব্দি। রাকা রান্না ঘরের উপরে একটা বড় বাশের ডগা তে ধুচুনি দিয়ে আকাশ প্রদীপ বানিয়ে দিয়েছে। রানির সেটা খুব পছন্দ। সরলার মেয়ে আর রানি মিলে দেখে সন্ধ্যে বেলায় যখন যূথী দড়ি দিয়ে আসতে আসতে ধুচুনির ভিতরে রাখা জ্বলন্ত প্রদীপ টা আসতে আসতে তুলে দেয় বাঁশের ওপরে। কিন্তু আজকে যেন একমন একটা জোলো হাওয়া দিচ্ছে। আকাশে মেঘের ঘনঘটা। রাজা আর রাকা কেউ এখনো ফেরে নি। দুজন মা ই সেই নিয়ে চিন্তিত। আকাশ কালো হয়ে এসেছে। ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়েই সরলা মেয়ে কে নিয়ে চলে গেল বাড়িতে। যূথী রানি কে ঘরে পড়তে বসিয়ে, ছোট টা কে পাশে শুইয়ে রান্না করতে লাগলো অন্যমনস্ক ভাবেই।